এইচআইভি পাত্র পাত্রী চাই



 এ যেন এক যুগান্ত করি ঘটনা। যে দেশে এইডসের নামে পিটিয়ে মারার ঘটনা কম নয় ,এইচআইভির নামে গ্রাম ছাড়া কত লোক।  সেই দেশে সমহিমায় খুলছে  এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য বিয়ের ওয়েব সাইট। এতদিন যারা তাদের দুরারোগ্য রোগ লুকিয়ে রাখত  তারাই সেচ্চায় নিজের সকল তথ্য দিয়ে পোস্ট করছে বিয়ের জন্য।  এই সাইটের মাধ্যমে প্রতি বছর বিয়ে করছেন  প্রায় ২০০ জনের বেশি এইচআইভি পাত্র পাত্রী।
         সুদু এইচআইভিদের জন্য রয়েছে ৪ থেকে ৫ টি অনলাইন সাইট। এছাড়াও ওই সাইট গুলিতে " স্পেশাল কেস " নাম একটি বিভাগ আছে , যেকানে এইচআইভি ছারাও থ্যালাসেমিয়া ,ক্যান্সার আক্রান্তদের বিয়ের সুজগ করে দেওয়া হোচ্ছে।
          সমাজকর্মীদের মতে এইচআইভি নিয়ে মানুষের মধ্যে ছুঁয়োনা ছুঁয়োনা ভাব দূর করতে এর থেকে ভালো উপায় হয়না। আর এই সাইট গুলিকে দেখে বোঝাইযায় মানুষের সামাজিক ভাবনায় কতটা বদল এসেছে। যারা এতদিন এইচআইভি রোগ আছে জেনে বিয়ে করতে পারতেননা  তাদের জন্য এটি একটি জাদু কাঠি। ছেলেমেয়েরা নিজেরাই খুঁজেনিচ্ছে জীবন সঙ্গী-সঙ্গিনীকে।
           ২০০৬ সালে মহারাষ্ট্রের ট্রান্সপোর্ট অফিসার অনিল ভলিভ এরকমই একটি সাইট চালুকরেন। আর এই সাইটের মাধ্যমেএখনো পর্যন্ত ২৫০০ এইচআইভি আক্রান্তরা বিয়ে করেছেন।
           এইচআইভি চিকিৎসা আর আগের মতন নয় ,আগের থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। এইচআইভি সচেতনতার অভিযান এইচআইভি সম্পর্কে  মানুষকে অনেকটা সচেতন করেছে। ঠিক মতন আসুদ খেলে এইচআইভিতেও ভালোভাবে বেঁচে থাকা যায়।  বেঁচেথাকার ইচ্ছা বিবাহিত জীবন যাপনের ইচ্ছা সকলের হয়।  বর্তমানে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা কম নয়। আর প্রত্যেকের স্বাবাবিক জীবন যাপনের ইচ্ছা থাকে।
      কিন্তু আমাদের সমাজ থেকে এইচআইভি নিয়ে ছুৎমার্গ আজও কমেনি এরকম পরিস্থিতিতে সমাজের সহোযগিতায় এরকম সাইটগুলি তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের রাস্তা খুলে দিয়েছে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আলকুশী চমকে দেওয়ার মতন একটি গাছ

10 টি বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আর্টওয়ার্কস

নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ !