আলকুশী চমকে দেওয়ার মতন একটি গাছ

আলকুশী চমকে দেওয়ার মতন একটি গাছ। 
যারা আলকুশী গাছ চেনেন তারাই জানেন এর চমক। সুদু মানুষ কেন বোনের বাদর থেকে তামাম প্রাণী এগাছের ফল দেখলেই উল্টদিকে দৌড় মারে। কারণ এ গাছের ফল বিছুটি পাতার থেকেও বেশি জ্বলন সৃষ্টি করি। আলকুশি গাছের ফলের গায়ে লেগেথাকে অসংখ রোঁয়া। আর এই  রোঁয়া যদি কোনো ভাবে শরীরের সংস্পর্শে এলে শরীরে জ্বালা ধরিয়ে প্রচন্ড চুলকানির সৃষ্টি করে। এর আর একটি নাম "কপিকচ্ছ"। 



কিকরে চিনবেন এই গাছ ?
লতানো বা সীম জাতীয় এই গাছ। পাহাড় অঞ্চলে জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায়।সারা ভারতেই এইগাছ পাওয়া যায়। সাধারণত স্যাঁতসেঁতে ঝোপঝাড়ে আলকুশী গাছ দেখা যায়।  লতা রোমযুক্ত পাতা। তিনটি কোটর পাতার গুচ্ছ হয়। এর ফুল বেগুনি রঙের হয়। তেতুলের মতন এর ফল হয়। ফলের গা রোমযুক্ত হয়। ফলের বীজ বাঁদর ,হনুমানের খুবই প্রিয় খাবার। এক মাত্র ফল ফেটে বীজগুলি নিচে পড়লেই সেগুলি খওয়া সম্ভব। এই গাছ নিজের আত্ম রক্ষার জন্য এমন রোমের বিকাশ ঘটিয়েছে। তাই এই গাছের আরেক নাম "আত্ম গুপ্তা"।   
আলকুশী গাছের ঔষধি গুন্ :
আলকুশী গাছের সব অংশই কোনও না কোনও রজার ঔষধ হিসাবে ব্যবহার হয়। এর বীজ দুধে সেদ্ধ করে খেলে ক্ষীণ সুক্রুরোগের শুক্রের বৃদ্ধি ও গারতা বাড়ায় ও শারীরিক দুর্বলতা দূর হয়। এরকম বহু গুনে সম্মৃদ্ধ এই আলকুশী গাছ , এর পাতা, শেখর,কান্ড,বীজ সব ঔষধি গুনে সম্মৃদ্ধ। খুবই উপকারী একটি গাছ।পৌরাণিক যুগে এইগাছের ব্যবহারের ও ঔষধি গুনের কথা শোনা যায়। 
আলকুশী গাছ অনেক নাম পরিচিত যেমন সংস্কৃতে "আত্মগুপ্তা", "কপিকচ্ছু", হিন্দিতে "কৌঞ্চ", গুঞ্জা ,কীভাঞ্চ ,বাংলায় "আলকুশী", নামেই পরিচিত। 




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

10 টি বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আর্টওয়ার্কস

Ancient Roman Coin