সাবধান , চিন চালাচ্ছে সাইবার হ্যাকিং

 আপনিকি  চীনা অ্যাপ ব্যবহার করেন ? বা আপনার মোবাইলে একাধিক চীন অ্যাপ এখনো আছে ? আপনার সামনে বিপদ ,  কভিডি -১৯ নয় ,আপনাকে আক্রমণ করতে পারে  ‘ফিশিং ক্যাম্পেনিং’ সাইবার হ্যাকিং। যেটা এখন সবচাইতে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোভিড এর হাতধরে কিভাবে  সাইবার হ্যাকিংহতে পারে সেবিষয়ে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম সতর্কবার্তা জারি করেছে। জানাচ্ছে ২১ জুন থেকে চিন শুরু করতে পারে সাইবার হানা। ভারতের বড়ো শহরে গুলিকে টার্গেট করেছে চিনা মদত পুষ্ঠ সাইবার হ্যাকিং সংস্থা। নিশানায় রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার, কর্পোরেট হাউস , মিডিয়া ও সাধারণ মানুষ। চীনা সেনার মদতে পুষ্ট ‘গথিক পান্ডা’ এবং ‘স্টোন পান্ড' দুটি সংস্থা এর আগেও বিশ্বজুড়ে হ্যাকিং চালিয়ে ছিল। 

কোভিড এর হাতধরে কিভাবে  সাইবার হ্যাকিংহতে পারে ?

আপনি যখনি কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করেন বা যখন করেছিলেন তখন আপনার ই মেইল আই ডি দিতে হয় বা দিয়ে ছিলেন। আর সেই মেইল আই ডি তে আস্তে পারে কোভিড - ১৯ থেকে সুরক্ষিত হওয়ার জন্য মেইল। সেখানে আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হবে ,আপনি কেমন আছেন ?, কোনো রোগ আছে  কিনা ? এরকম এক ঝাঁক প্রশ্ন। যা আপনার বিশ্বাসকে জয় করতে সক্ষম হবে। তার পর আপনাকে কিছু লিংকে ক্লিক করতে বলা হবে। আর সেখানেই চেয়ে নেওয়া হবে গোপন কিছু তথ্য। যখনি আপনি আপনার তথ্য দেবেন সেটা গোপন পাসওয়ার্ড হতে পারে, বেঙ্ক   ডিটেলস হতেপারে, হতে পারে আপনার গোপন তথ্য।  যখনি আপনি সেই তথ্য টাইপ করছেন সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যাচ্ছে চিনা  হ্যাকারদের কাছে।
এটা প্রথবার নয় এর আগেও চিন বিশ্ব জুড়ে হ্যাকিং চালিয়ে ছিল। কিছুদিন আগেই চিনা সাইবার হ্যাকাররা  অস্ট্রেলিয়াতে  সাইবার আক্রমণ  করেছিল।অস্ট্রেলিয়ায় বিপুল সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে সাইবার হানা ঘটিয়েছে তারা । আর ভারতে চিনা অ্যাপ ব্যবহার কারির সংখ্যা বিপুল। অনেকেই না জেনেও চিনা অ্যাপ ব্যবহার করছে । যেমন club factory, share it এর মতন বহু দরকারি অ্যাপ চিনা অ্যাপ। আর এর মাধ্যমে আপনার গোপন তথ্য পৌঁছে যেতে পারে হ্যাকারদের  কাছে। আপনি জেনে অবাক হবেন চিন সরকারের মদত পুষ্ঠ কিছু হ্যাকার সংস্থা আছে, যেমন ‘গথিক পান্ডা’ এবং ‘স্টোন পান্ড' ,যাদের দিয়ে চিন সরকার প্রয়জনে এরকম হ্যাকিং এর কাজ মাঝে মধ্যেই  করে থাকে। 

আমাদের তথ্য হ্যাক করে কি লাভ চিনা সরকারের ?
আসলে এটা একটা যুদ্ধ ( সাইবার যুদ্ধ) । যুদ্ধের পড়ি ভাষা আজ বদলে গেছে। একটা দেশকে ব্ল্যাকমেইল করা বা অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বল করে দেওয়ার এটা একটা কৌশল। এ ভাবে একটা দেশেকে অনেকটা দুর্বল করা  সম্ভব। আর এটাকেই বলে সাইবার যুদ্ধ। যে যুদ্ধে বিনা গোলাগুলিতে একটা দেশেকে কাবু করা যায়। চিন তার বিস্তার নীতিকে প্রসারণ করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। তাই এবার সাইবার আক্রমণকে হাতিয়ার করে ভারতের উপর প্রয়োগ করার চেষ্টা করছে। 

 সাইবার হ্যাকিংহতে কি করা বাঁচবেন ?
চিনা অ্যাপ গুলিকে চিনে ডিলিট করেদিন। যদি আপনার ফোন চিনা কোম্পানির হয় ,তাহলে নতুন আপডেট করবেন না। আপনার ই মেইলে বা মোবাইলে  আসা নতুন লিংকে ক্লিক করবেন না। অযাচিত ই মেইল আর এস এম এস থেকে দূরে থাকুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আলকুশী চমকে দেওয়ার মতন একটি গাছ

10 টি বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আর্টওয়ার্কস

নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ !