ব্রক্ষ্ম (ॐ )
অ উঁ ম এবং বিন্দু এই চারটি ধ্বনির সংযোগে ॐ উচ্চারিত হয়। ব্রক্ষ্ম এর চারটি অবস্থা। একেকটি অবস্থার জন্য এক একটি ধ্বনি। মাণ্ডুক্য উপনিষদে ব্রক্ষ্ম এর সেই রূপ বর্ননা দেওয়া হয়েছে -----
ॐ মিত্যেতদক্ষর মিদং সর্ব্বম। সর্ব্বং হ্যেতেদ ব্রক্ষ্ম ,
অযামাত্মা ব্রক্ষ্ম। সোহায়মাত্মা চতুষ্পাদ:
ॐ শব্দের দ্বারা ব্রক্ষ্মকেই বুঝায় - ভূত , ভবিষ্যৎ , বর্তমান জগতের এই সকলি ব্রক্ষ্ম। ভূত, ভবিষৎ ,জগৎ এ সবই আমাদের পরিচিত ,এই সকলকে ব্রক্ষ্ম বলাহলে তাতে আমরা ব্রক্ষ্মের অল্প কিছু পরিচয় পেলাম। কিন্তু ব্রক্ষ্ম এত বিরাট ,বিশাল ,অনন্ত যে মানুষের পক্ষে এর ধারণা করা কঠিন। তাই বলাহয় প্রত্যেক মানুষের যে মূল সত্তা ,অন্তরাত্মা তাহাই ব্রক্ষ্ম। ব্রক্ষ্মকে মানুষের এত কাছে এনে দেওয়া আর কোন শাস্ত্রের পক্ষে সম্ভব হয়েছেকি ? "আমি " বলতে যা বুঝায় তাই ব্রক্ষ্ম ,এ ব্রক্ষ্মের অস্ত্বিত্ব সম্বন্ধে আর কারোকোন সন্দেহ থাকতে পারেনা। আমি যে সত্য ,আমি যে আছি - এ অনুভব এত নিবিড় এত প্রত্যক্ষ যে এর জন্য কোন প্রমানের দরকার পড়েনা। "আমি"-এর উপলব্ধি ধরে ব্রক্ষ্মকে বুঝাবার জন্য বলা হয়েছে - মানুষের যেমন বিভিন্ন অবস্থা জাগ্রত ,স্বপ্ন ,গভীর নিদ্রা ব্রক্ষ্মের ও সেইরূপ ,এই তিন অবস্থার নামকরণ করা হল - জাগ্রৎ ,স্বপ্ন,সুষুপ্ত। ব্রক্ষ্মের আর একটি অবস্থার নাম তুরীয়। এই চতুর্থ অবস্থা উচ্চতম ,এটা কি অবস্থা তা বলা যায় না কিন্তু তা কি না তা বলে এই অবস্থার কিছু পরিচয় পাওয়া যায়। ব্রক্ষ্মের এই চথুর্ত অবস্থার সম্পর্কে পরের কোনো লেখায় আলোচনা করবো।
মন্তব্যসমূহ