যোগ দৃষ্টি

                                             

                                                                                                           
ভারতের  ঋষি- মুনিদের যোগ দৃষ্টি ও অভাবনীয় ক্ষমতার কথা সকলেই জানে। ঋষিরা এমন ক্ষমতার অধকারী হতেন যোগের দ্বারা। যোগ শাস্ত্র ( ত্রৈলোক্যে যানি ভূতানি  তানি সর্বানী দেহটা: (২/৪ যোগশাস্ত্র  ) বলে এই দেহেরই সূক্ষ্ম স্তর মনে বা আমাদের শরীরে সর্ব্গ মর্ত্ত বা বিষয়ের স্বরূপ আমরা জানতে পারি ,যোগের বিশেষ প্রক্রিয়া ও প্রকরণের দ্বারা , যোগ অভ্যাসের দ্বারা যখন মানুষের মন সকল চঞ্চলতার উর্ধে  উঠে একাগ্র হয়। তখন মানবীয় মন তার ক্ষুদ্রতার গন্ডির গতিটি হারিয়ে ভূমা মনে মিশে যায়। শাস্ত্রে এই ভূমা মন বা ব্রাক্ষ্মী মনের বিমূর্ত রূপকেই সৃষ্টি বলে স্বীকার করেছে। এই সৃষ্টির ক্রিয়াশীল গতিটিই হল কাল।


                                     যোগীর মন যখন ভূমা মনে পর্য্যবসিত হয়ে যায় তখনই যোগী ব্রাহ্মণ্ডের আবর্তন চক্রের নানান ঘটনাক্রমের চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। ফলে সে তার দৃষ্টির শক্তিতে কালের গর্ভ থেকে যে কোন ঘটনার চিত্রকে টেনে তুলে ধরতে পারে আমাদের সামনে।  যোগীর দৃষ্টির এমন প্রচেষ্টাকেই যোগ দৃষ্টি বলা হয়।

                                     দস্যু রত্নাকর বাল্মীকি হয়ে ছিলেন।  বাল্মীকির এমন দৃষ্টি তৈরি হয়েছিল ,তাই রাম জন্মাবার আগেই তিনি রামায়ন রচনা করেছিলেন। ব্যাসদেবের এই ভবিষ্যৎ দর্শন শক্তি লাভ ঘটেছিলো। তিনি মহাভারতের ঘটনা পর্বের সূক্ষ্ম বিন্যাস জেনেছিলো। যিনি যোগী ও  ঋষির লক্ষ্ম্য সেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ   যুদ্বক্ষেত্রে  বিবশ প্রায় অর্জুনকে ঘটনামান কালচক্রে মহান গতি চিত্রটিকে দেখিয়ে দিতে পেরেছেন। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আলকুশী চমকে দেওয়ার মতন একটি গাছ

10 টি বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আর্টওয়ার্কস

নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ !