ভিমানা

                                   


বেদে ও মহাভারতে   ভিমানিকা শাস্ত্রের কথা বলা হয়েছে।যেখানে ভগবান দ্বারা পরিচালিত যানের উল্লেখ আছে। যার দ্বারা তারা যেকোনো জায়গায় যাতায়াত করতে পারতেন।যা আকাশ ,মাটি,জল সব জায়গায় চলাচল করতে সক্ষম ছিল।  ‘সংস্কৃত ভাষায় এই যানটির নাম দেওয়া হয়েছে ভিমানা (Vimāna) .
                          প্রাচীন হিন্দু শাস্তরে  গবেষক সমরঙ্গল সূত্রধরের গবেষণা অনুযায়ি, পাঁচটি অলৌকিক বিমান ছিল, পাঁচ দেবতার জন্য। তারা হলেন, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, কুবের, ইন্দ্র ও ইয়ামা।  আরো কিছু বিমান তৈরি করা হহয়ে ছিল  অন্যান্য দেবতাদের জন্য। বিমানগুলোর মধ্যে আবার চারটি প্রধান ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- রুকমা, সুন্দরা, ত্রিপুরা ও সাকুনা।

                                রুকমার গঠন ছিল কলার মোচার মত। এর গায়ের রং উজ্জ্বল সোনালি।

                               সুন্দরার গঠন হলো, আধুনিক রকটের মত। এটির রং ছিল উজ্জ্বল রূপার মত।

                              ত্রিপুরার গঠন ছিল তিন কোনা বিশিষ্ট প্রসাদের মত এবং তিন তলা বিশিষ্ট।

                              সাকুনার গঠন ছিল একটি পাখির মত। দুই দিকে দুটি পাখা ‍ছিল তার।

সমরঙ্গণ সূত্রধর তার গবেষণায় লিখেছেন, ‘শাস্ত্রে বাহনটি তৈরি করতে যে ডিজাইনের কথা বলা হয়েছে, সেখানে তিনটি পদার্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- সামালা, সাউন্ডালিকা ও মোউর্থিকা। যদি এই তিনটি পদার্থ একসঙ্গে ভালভাবে মেশানো হয়, তাহলে ১৬ প্রকার পদার্থ তৈরি হবে। যেগুলোর নাম ঠিক এই রকম- উসনামভারা, উসনাপা, লাজামরাতিক ইত্যাদি। কিন্তু সেগুলোর অর্থ আমাদের কাছে অজানা। এ ছাড়া বাহনটি তৈরি করতে কীভাবে ধাতুগুলো পরিস্কার করা হবে, কীভাবে বিভিন্ন এসিডিক পদার্থকে রিফাইন করবে, কীভাবে তাপমাত্রা থেকে তার তৈল সংগ্রহ করবে ইত্যাদিও বর্ণনা করা আছে।’

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আলকুশী চমকে দেওয়ার মতন একটি গাছ

10 টি বিখ্যাত লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আর্টওয়ার্কস

নাগাল্যান্ডে কুকুরের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ !